ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম জায়গা মসজিদে নববীতে প্রতিদিন কী পরিমাণ জমজমের পানি সরকরাহ করা হয় তার তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, প্রতিদিন মদিনায় ৩০০ টন জমজমের পানি সরবরাহ করা হয়। বুধবার (২২ মে) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মুসল্লিদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে জমজমের পানি সরাসরি মসজিদে নববীর একটি সংরক্ষণ প্ল্যান্টে মাসিক সরবরাহের পরিমাণ ৯ হাজার টনে পৌঁছেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন মসজিদে নববীতে ৩০০ টন জমজমের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এএফপি জানিয়েছে, মুসল্লিদের এ পানি সরবরাহের আগে তার গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখা হয়।
সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে জেনারেল অথরিটি। এ অথরিটি পানির মান ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করে থাকে। এজন্য জমজমের উৎস থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তারা। প্রতিদিন এমন ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
হাজিদের কাছে জমজমের পানি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রতি বছর সারা বিশ্বের হাজিরা হজ পালন শেষে নিজ দেশে ফেরার সময় আত্মীয়স্বজনদের জন্য এ পানি নিয়ে আসেন।
চলতি বছর হজ পালনের জন্য সারা বিশ্বের মুসলমানরা সৌদি আরব যেতে শুরু করেছেন। এ বছর প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হাজিরা হজ পালনের আগে পরে মদিনা সফর করে থাকেন।
এর আগে গালফ নিউজ জানায়, জটিল রোগে আক্রান্ত হজযাত্রীদের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। এতে বলা হয়েছে, যেসব হজযাত্রী দীর্ঘস্থায়ী বা জটিল রোগে ভুগছেন তাদের সৌদি আরব ভ্রমণকালে চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চিকিৎসাসংক্রান্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য হাজিদের এটি আবশ্যক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিরা কেউ যদি এমন একটি অসুস্থতায় ভোগেন যার জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এবং নির্দিষ্ট ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করেন, তাহলে আগমন এবং প্রস্থানের সময় সেবা নেওয়ার জন্য চিকিৎসা নথিপত্র আনতে ভুলবেন না।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ জুন পবিত্র হজ শুরু হবে।