করোনা মহামারির রেশ না কাটতেই, নতুন মহামারিতে রূপ নিয়েছে মাঙ্কিপক্স। আফ্রিকার সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বে। এদিকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মাঙ্কিপক্স কী
১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের একটি ল্যাবে বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ শনাক্ত হয়। তবে এ ভাইরাসের বাহক কেবল বানরই নয়, ইঁদুরও। মাঙ্কিপক্স মূলত ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা আছেন
যেকোনো বয়সের মানুষের মাঙ্কিপক্স হতে পারে। তবে এ ভাইরোসের ঝুঁকিতে আছে অল্পবয়সী শিশুরা। কারণ, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল। ফলে রোগের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করা বেশি কঠিন। ছোট শিশুরা যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে খেলাধুলা করে এবং একে অপরের সঙ্গে মেশে সে কারণে ঝুঁকিতে থাকতে পারে। এমনকি গর্ভবতী নারীরাও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। এমপক্স থেকে রক্ষা পেতে আক্রান্ত কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ না হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ভাইরাসটি যদি আপনার আশেপাশের কারও থাকে তবে সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। সব ক্ষত সেরে না যাওয়া পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
এমপএক্সের টিকা আছে কী
মাঙ্কিপক্সে প্রতিষেধক বা টিকা আছে। তবে এ টিকা সবার জন্য নয়। শুধু যারা ঝুঁকিতে আছে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকছে কেবল তারাই এটি নিতে পারবে। তবে শঙ্কার বিষয় হলো, যাদের প্রয়োজন তাদের সবার কাছে টিকা পৌঁছাবার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নেই। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন না পেলেও জরুরি অবস্থায় টিকাগুলো ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ডব্লিউএইচও।