গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মা-মেয়েকে প্রায় ৯ ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। পুলিশ খবর পেয়ে তাদের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের ডোমড়া কান্দি উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের ডোমড়া কান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের মাজেদ মোল্লার স্ত্রী রুবিয়া বেগম ও মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বসতঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন একই এলাকার আবু সাঈদ মোল্লা ও হাবি মোল্লা।
সোনিয়া আক্তার কালবেলাকে বলেন, জমি নিয়ে আবু সাঈদ মোল্লা গংদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আমি ও আমার মা ঘরে থাকা অবস্থায় দরজার বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয় আবু সাঈদ মোল্লা ও হাবি মোল্লা। পরে রাত ২টার দিকে মুকসুদপুর থানা পুলিশ ঘরের দরজায় লাগানো তালা খুলে আমাদের উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, মুকসুদপুর থানা পুলিশের এসআই মোবারককে সন্ধ্যার সময় ঘটনাটি জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আমি ও আমার মা ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে বাহির হবো বললেও তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে যাও।
এ বিষয়ে জানতে এসআই মোবারকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সরোয়ার বলেন, ওসি স্যার আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মা-মেয়েকে ঘরের বাহির থেকে দরজায় তালাবদ্ধ অবস্থায় পাই। বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক না থাকায় বৃদ্ধ এক নারী তালার চাবি দেন। পরে রুবিয়া বেগম ও মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে মুক্ত করি।
তিনি বলেন, জানতে পেরেছি, আবু সাঈদ মোল্লা ও হাবি মোল্লা ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে মা-মেয়েকে আটক করে রাখে।
এলাকায় না থাকায় এ বিষয়ে জানতে আবু সাঈদ মোল্লা ও হাবি মোল্লার সঙ্গে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্ত্রী রুবিয়া বেগমকে কুপিয়ে আহত করে আবু সাঈদ মোল্লা ও হাবি মোল্লাসহ ৯ জন। পরে ২৯ এপ্রিল ৯ জনকে আসামি করে রুবিয়া বেগমের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেন।