দশম মাসে গড়িয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। দুই দেশের মধ্যকার এ যুদ্ধ থামাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে দুপক্ষের মধ্যে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেদের শর্তে ছাড় দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এমন পরিস্থতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলে এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম চ্যানেল১২কে বলেন, আলোচনা এখন যে পর্যায়ে আছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু নেতানিয়াহু যেসব শর্তারোপ করছেন তা এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত এমনকি থামিয়েও দিতে পারে।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে নেতানিয়াহুর অফিস। তাদের দাবি, হামাস তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছে।
শুক্রবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানায়, আলোচনার ক্ষেত্রে নতুন শর্ত যোগ করেছেন নেতানিয়াহু। এর অন্যতম হলো গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী স্থানে ইসরায়েলের সেনারা থাকবে। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের কোনো যোদ্ধাকে ফিরতে দেওয়া হবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর আরোপ করা এসব শর্ত যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ভণ্ডুল করে দিতে পারে।
গত মে মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য তিন স্তরের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা প্রস্তাবনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়- যুদ্ধ শেষ হলে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল। তবে এখন যুদ্ধবিরতির এ শর্তটি অস্বীকার করছেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি জিম্মিদের সংগঠন জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এমন অবস্থানের কারণে যুদ্ধবিরতির এ চেষ্টাটি আটকে যেতে পারে। তারা নেতানিয়াহুর এমন অবস্থান নিয়ে শঙ্কা ও অবাক বলে মন্তব্য করেছেন। সব বাদ দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবি করেছেন তারা