ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষকৃত্য আজ সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজে শুরু হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এতে অংশ নিতে শহরের রাস্তায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
এরপর রাইসিসহ বাকিদের মৃতদেহ তাবরিজ থেকে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। যেখানে রাইসি পড়াশোনা করেছেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কোমে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাজধানী তেহরানে আনা হবে। যেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি তৃতীয় জানাজা নামাজের নেতৃত্ব দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদ মঙ্গলবার রাতে শেষ শ্রদ্ধার জানানোর জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব তেহরানেও আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বিকেলে উচ্চপদস্থ বিদেশি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হবে। তেহরানের জানাজায় অংশ নেবেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
সফরসূচি অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে রাইসিকে ইমাম রেজার শ্রদ্ধেয় মাজারে দাফনের জন্য তার নিজ শহর মাশহাদে নিয়ে যাওয়া হবে। মাশহাদে রাইসিকে দাফন করার আগে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দে আরেকটি অনুষ্ঠান হবে।
ইমাম রেজার মাজার ইরানের মাশহাদে অবস্থিত দ্বাদশবাদী শিয়া মুসলমানদের বারো ইমামের অন্তর্ভুক্ত অষ্টম ইমাম আলী রেজার মাজার শরীফ। আয়তনের দিক থেকে এই মসজিদটি পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ এবং ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ মসজিদ।