Home Bangladesh রাঙামাটির ৪০ পাহাড়ি পরিবার পেল মাচাং ঘর

রাঙামাটির ৪০ পাহাড়ি পরিবার পেল মাচাং ঘর

111
0

পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবার পাহাড়ের গৃহহীন ও ভূমিহীন ৪০টি পাহাড়ি পরিবারকে হস্তান্তর করা হলো মাচাং ঘর। পাহাড়ে ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সঙ্গে মিল রেখে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে এসব বসতঘর তৈরি হয়েছে।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পাহাড়ি পরিবার পেল এই মাচাং ঘর। যেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমি ও গৃহ হস্তান্তর প্রকল্পের ৫ম পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে নির্মাণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন এবং উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে মাচাং ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

এর আগে গণভবন হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারা দেশে ১৮ হাজার জন গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে আশ্রয়ণের ঘর হস্তান্তর করেন। এ সময় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে আগত আমন্ত্রিত অতিথি ও সর্বস্তরের জনগণ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এদিকে কাপ্তাইয়ে এসব গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা, উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, হেডম্যান, কারবারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।

প্রসঙ্গত, কাপ্তাই উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের রাইখালী মৌজায় ১০টি, নারানগিরি মৌজায় ১২টি, চিৎমরম মৌজায় ১৪টি, পেকুয়া মৌজায় ৪টিসহ সর্বমোট ৪০টি মাচাং ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭০ টাকা। প্রতিটি ঘরেই রয়েছে একটি বারান্দা, দুটি রুম ও একটি রান্নার কক্ষ। এই ঘর একদিকে যেমন পাহাড়িদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে, তেমনি ব্যয় সাশ্রয়ী বলে মত কর্তৃপক্ষের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here