বাংলাদেশের তরুণ ও শিশুরা দেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সামনের সারিতে ছিল। তারা অনেক কিছু অর্জন করেছে, আবার তারা বড় রকমের মূল্য দিয়েছে। পরিবর্তনেও সামনের সারিতে তাদের থাকা দরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার ভূমিকা নিশ্চিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করছি, আগামীতেও তারা সক্রিয়ভাবে এই ধারা অব্যাহত রাখবে। শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ এ আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নিউইয়র্ক থেকে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
তিনি শিশুদের সকল প্রকার অপব্যবহার, নির্যাতন এবং নির্বিচারে আটক থেকে রক্ষায় আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ইউনিসেফের পরিসংখ্যানে জানা যায়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, দমন-পীড়নে বাংলাদেশে ৬৫ বেশি শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছে দাবি জানাই, এই সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের একটি পূর্ণ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করা।
বিশেষ করে, সহিংসতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং বন্দি শিশু এবং তরুণদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে জোর দেন। তিনি সাইবার ক্রাইম এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করার প্রতি জোর দেন। সেসঙ্গে মুক্তি দেওয়া শিশুদের স্বাগত জানান। যারা এখনো মুক্তি পায়নি তাদের দ্রুত মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানান।
এই শিশু এবং তাদের পরিবারের মঙ্গল এবং ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য আইনি সহায়তা, মনোসামাজিক যত্ন এবং পুনর্মিলন পরিষেবাসহ উপযুক্ত সহায়তা প্রদানে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।