Home Bangladesh শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ছাত্রলীগ নেতা

শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ছাত্রলীগ নেতা

76
0

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন রাসেল হোসেন রিয়াদ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা।

রোববার (১৫ জুলাই) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীর নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।

ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হোসেন রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপস্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।

আহত গোলাম কিবরিয়া কালবেলাকে বলেন, রাসেল হোসেন রিয়াদ এবং আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০৭ নম্বর রুমে থাকি। হলের রিডিং রুমে পড়াশোনা শেষ করে রাত ৩টার দিকে রুমে আসি। রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা শেষ করে রুমে আসি। কিছুক্ষণ পর রুমের বাইরে যাই। ৫ মিনিট পর রুমে ঢুকতে গেলে দরজা বন্ধ পাই।

তিনি বলেন, দরজা খোলার জন্য আঘাত করতে থাকলে একপর্যায়ে রুমের দরজা খুলে রাসেল হোসেন রিয়াদ আমার দিকে তেড়ে আসেন। তখন রুমের সামনে থাকা জুতা তুলে আমাকে হাত এবং জুতা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আমার নাক ফেটে রক্ত বের হলে আমি দৌড়ে ৩০৪ নম্বর রুমে চলে আসি। এ সময় রাসেল আমার ফোনও ভেঙে ফেলেন।

আহত শিক্ষার্থী আরো বলেন, রাসেল প্রায়ই রুমে ঝামেলা করতেন। রুমে রান্না করা নিয়ে, রুমে কথা বলা নিয়ে, লাইট জ্বালানো নিয়ে সমস্যা করতেন। মাঝখানে উনি আমাকে রুম ছেড়ে দিতে বলেছেন। এর আগে ৪০৭ নাম্বার রুমে বাংলা বিভাগের এক জুনিয়রকে দা নিয়ে তাড়িয়ে বের করে দিয়েছেন। উনি আগেও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন কিন্তু আজকে গায়ে হাত তুলেছেন। এটা প্রত্যাশা করিনি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

৩০৪ নাম্বার রুমের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তারা রুমের দরজায় ধাক্কার শব্দ শুনতে পান। রুম খুলে দেখি কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার নাক থেকে রক্ত পড়ছে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হোসেন রিয়াদ বলেন, যে অভিযোগগুলো করেছে এগুলো সত্য নয়। কিবরিয়া অধিক রাত পর্যন্ত রুমের বাইরে থাকে। আমরা যেহেতু রাজনীতি করি আমাদের নিরাপত্তার একটা বিষয় আছে।

তিনি বলেন, আজ রাত ৩টার সময় রুমে এসে দরজা ধাক্কাতে শুরু, এতে আমরা ভয় পেয়ে যাই। দরজা খুলে দেখি কিবরিয়া দাঁড়িয়ে আছে। আর আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্যে কথা বলে। পরে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সে আমাকে আক্রমণ করে। আমার ঠোঁট ফেটে যায়, হাতে ব্যথা পাই। আমি দেখেছি ওর কিছুই হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু কালবেলাকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা এটা নিয়ে বসব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here