দুই বছর ধরে রিপন নামের এক যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক। তাদেরকে বিভিন্ন সময় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছে গ্রামবাসীরা। একসঙ্গে ঘুরলেও প্রেমিকের কুমতলব কখনোই টের পায়নি অবুঝ কিশোরী। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে রিপন।
লোকলজ্জার ভয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়নি ওই মেয়ে। সম্প্রতি কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখতে পায় তার পরিবার। পরে চিকিৎসকের কাছে গেলে জানতে পারেন, তাদের মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। একপর্যায়ে প্রেমিক বেঁকে বসায় এখন গর্ভের সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে মাথায় হাত ওই কিশোরীর। অজানা ভয় আর আতঙ্কে ঠিকমতো কথাও বলতে পারছে না সে। সন্তানের পরিচয় পেতে রীতিমত আর্তনাদ অন্তঃসত্ত্বা এ নারী।
সম্প্রতি ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নে এমন ঘটনা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চান তারাও। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন রিপন।
প্রতিবেশীরা বলছেন, যেহেতু এটি একটি অল্পবয়সী মেয়ের জীবন ও সামাজিক ব্যাপার, সেক্ষেত্রে এর সুবিচার অত্যন্ত প্রয়োজন।
ঘটনার বিষয়ে দৌলতখান থানার ওসি তদন্ত এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনার বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিতভাবে এমন কিছু পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।