দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে নিজেদের স্থায়ী ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা পর্যন্ত সহযোগিতার উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েকটি পরিবারের হাতে এরইমধ্যে তুলে দেয়া হয়েছে বরাদ্দের প্রথম কিস্তি। এখানেই বিপত্তির শুরু। এ টাকা হাতে পেয়েই স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন অন্তত ১১ জন গৃহবধূ। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ঘর নির্মাণের জন্য নেয়া প্রকল্পের আওতায় মহারাজগঞ্জ জেলায় প্রকল্পভুক্ত প্রতি পরিবারকে প্রথম কিস্তির ৪০ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব টাকা দেয়া হয় পরিবারের নারী সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। তারপরই ঘর ছাড়া হন এসব নারী। পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয় নিখোঁজ মামলা।
মহারাজগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট অনুনয় ঝা জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর ১১ জন মহিলার বিরুদ্ধে তা অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা বাড়ি তৈরিতে এসব টাকা ব্যবহার করেননি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এসব গৃহবধুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দেয়া কিস্তির টাকা পুনরুদ্ধারের আদেশও দেয়া হয়েছে।
আলোচিত এ ঘটনা সামনে আসে যখন সঞ্জয় নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে যান। সে সময় তিনি জানান, কিছুদিন আগেই তার স্ত্রী বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা পেয়েছেন। ব্লক ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা তখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। এরপরই বেরিয়ে আসে, সঞ্জয়ের স্ত্রী সুনিয়া টাকা নিয়ে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়েছেন। এভাবে একে একে সামনে আসে আরও ১০টি ঘটনা।
ভারতের এ রাজ্যটিতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত বছর এমন একটি প্রকল্পের আওতায় কিস্তির টাকা পাওয়ার পর স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালান ৪ নারী। তারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা হওয়ার পরই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন।