স্বেচ্ছায় অবসর নিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান টুকু।
রোববার (১২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতিপত্র জমা দেন । ট্যুরিস্ট পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের রিসিভ অ্যান্ড ডেসপাচ শাখা অব্যাহতিপত্রটি গ্রহণ করেছে।
অব্যাহতিপত্রে তিনি লিখেছেন, বাংলার মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসেবে আমি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে ইচ্ছুক নই।
অতিরিক্ত ডিআইজি লিখেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর আগের কয়েক দিন ও বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন করতে হয়েছে। এই আদেশ পালন করতে গিয়ে অবৈধ সরকারকে রক্ষার নামে নিজেদের ক্ষমতা ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের পথকে দীর্ঘায়িত করার মানসে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিংস্র ও বর্বর আদেশে শিশু-কিশোরসহ বহু মানুষকে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছেন, যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বর্তমানে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদনে পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, আমি বুঝতে পারছি যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে আর চাকরি করা আমার জন্য সমীচীন নয়। এ কারণে ১১ আগস্ট আমি পুলিশে আমার পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোননয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তার ভাই শৈলকূপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সেসময় বেশ সমালোচিত হয়।