আইন অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধ উপায়ে হজ পালনের চেষ্টা করছেন। এই অপরাধে অন্তত ২০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করে মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে সৌদি প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র মক্কা-মদিনায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। বিশাল সংখ্যক হাজিরা যেন সবকিছু সুন্দরভাবে শেষ করতে পারেন তার কোনো কমতি রাখেনি সৌদি সরকার। তাই বেশ কিছু বিধি নিষেধও আরোপ করেছে এই হজকে ঘিরে। এরই আওতায় ওই সব লোককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
সৌদি আরবের জননিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা জেনারেল ডিরেক্টরেট অব পাবলিক সিকিউরিটি জানিয়েছে, দোষী ব্যক্তি যে পদধারী হোক না কেন আইন অমান্য করায় তাকে শাস্তি পেতে হবে।
এর আগে রোববার থেকে সৌদি আরবে কার্যকর করা হয় পবিত্র হজবিষয়ক আইন ও নির্দেশনা অমান্য করার শাস্তি। এটি বহাল থাকবে ২১ জুন পর্যন্ত। হজ পালনের অনুমতি ছাড়া পবিত্র নগরীতে কোনো হজযাত্রীকে পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করবে। এর আওতায় রয়েছেন সৌদি নাগরিক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাও।
কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে উল্লেখ করেছে, কেউ অনুমতি ছাড়া হজযাত্রীদের পরিবহন করলে তাকে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার বেশি।
বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি যথাযথ অনুমতি ছাড়া হজযাত্রীদের পরিবহনে ধরা পড়ে, তবে তাকে শাস্তি ভোগ করার পরে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকে আর সৌদি আরবে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের একটি হজ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হলেও হজ করা বাধ্যতামূলক। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে।