Home Bangladesh ১০০ বছরেও আ.লীগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না : আমিনুল হক

১০০ বছরেও আ.লীগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না : আমিনুল হক

71
0

আওয়ামী লীগের যেভাবে পতন হয়েছে তাতে আগামী একশ বছরেও তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর যোদ্ধারা যেভাবে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে আজকে আমাদের মহান ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা ছিল অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা কিন্তু হাসিনা সরকার তা কানে নেননি। এর কারণেই বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে শেখ হাসিনা সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হাসিনাকে বিদায় করে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ হয়েছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে লুটপাট, দখল ও চাঁদাবাজির অপকর্মের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আমিনুল হক বলেন, কোনো প্রকার দখল বাণিজ্য, লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে নেতাকর্মীদের ন্যূনতম অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের দল করার কোনো যোগ্যতা থাকবে না। দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা দখলদারি, চাঁদাবাজ ও লুটপাট করার অপচেষ্টা করছে, তারা কিন্তু দুষ্কৃতকারী, তারা বিএনপির লোক নয়, হয়তো বা তারা নব্য-বিএনপি হয়েছে। তিনি বলেন, যারা লোকাল প্যানেল থেকে আওয়ামী লীগ করেছে, আপনাদের মতো হয়তো বা কোনো ভাইদের সহযোগিতায় তারা এখন নব্য-বিএনপি হয়েছে। তিনি দখলবাণিজ্য, লুটপাট, চাঁদাবাজির মতো অপকর্মে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ যে ভুল গত ১৭ বছর ধরে করেছে, যে জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, যদি তার একটা ভুলও আপনারা করেন, তাহলে আমাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ কী চায়? বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কি চায়? শ্রমিক সমাজ কি চায়? জনগণের ভাষা বুঝে জনগণের বন্ধু হিসেবে পাশে থেকে জনগণের যে প্রত্যাশা, যে চাওয়া, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করবো। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ। আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭টা বছর বাংলাদেশের জনগণের ওপর ও জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে। আপনারা নিজেরাই শত শত মামলা হামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। আপনারা বাসাবাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ ছিল। জনগণের কথা ভাবেননি। তারা যদি জনগণের কথা ভাবতো, তাহলে তাদের এভাবে করুন পরিনতি হতো না।

এরকম দুর্বৃত্ত সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকারের পরিনতি কি রকম হয়েছে আপনারা সকলেই জানেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে শেখ হাসিনা কিভাবে ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর গত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, এজিএম শামসুল হক, মোয়াজ্জেম হোসেন মতি,আখতার হোসেন, মোস্তফা জামান, মহানগর সাবেক সদস্য হাজি মো. ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, সোহেল রহমান, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, হাফিজুর রহমান শুভ্র, মাহাবুব আলম মন্টু, আফতাব উদ্দিন জসিম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শ্রমিক দল মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শাহ আলম রাজা, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামরুল, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মেরাজ, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মহসীন সিদ্দিকী রনী, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, তেজগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজি দেলোয়ার হোসেন দুলু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মেতালেব হোসেন রতন,যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ ভূইয়া, উত্তরখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম খান,যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারি, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএস আহমাদ আলী, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া ও ৪০ নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হাতি, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম শাহজালাল সিকদার,খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম ফজলুল হক যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, রুপনগর থানা ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, আদাবর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন ও ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী, বাড্ডা থানা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাবু, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিলুফা ইয়াসমিন নীলুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here